নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরশনের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ২৬ শে নভেম্বর থেকে দেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের কেন্দ্রীয় এসোসিয়েশন দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এই কর্ম বিরতির ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় টাংগাইলের ভূঞাপুরেও এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।
কর্ম বিরতির ২য় দিনে আজ বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন, ভূঞাপুর শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সহকারীগণ শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মবিরতি পালন করেন। সারা দেশে তাদের এই কর্ম বিরতির ফলে দেশে ১ লক্ষ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার মা ও শিশু টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের দাবি নিয়োগ বিধি সংশোধন করে ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক , সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারিদের বেতন গ্রেড যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। কর্মবিরতি সমাবেশে বক্তারা বলেন তাদের এই দাবি পূরণের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্ম বিরতি অব্যাহত থাকবে। বক্তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর এক সমাবেশে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরশনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২রা জানুয়ারী তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। চলতি বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব মহোদয় এই দাবি মেনে নিয়ে একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু অদ্যবধি কোন প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি। তারা বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যেন অতি দ্রæত আমাদের এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। তা না হলে আমরা আগামী ৫ই ডিসেম্বর থেকে দেশে শুরু হওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন থেকেও আমরা আমাদের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকব। আমাদের এই দাবি পূরণের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্ম বিরতি অব্যাহত থাকবে।