বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার প্রত্যন্তঞ্চল সহ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে নানা স্পটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির নজরদারী এড়িয়ে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণীর মাদক ব্যাবসায়ীরা। বিভিন্ন সূত্র থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের অনেক অঞ্চলে মাদকের বিস্তৃতি ভয়বহরূপ ধারণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বানারীপাড়া উপজেলায় ও পৌর শহরেও রয়েছে মাদকের এক প্রকার ছড়াছড়ি। এতে করে তরুণ ও যুব সমাজ ব্যাপক হারে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক অভিভাবকরা জানান। মাদকের মরণ ছোবলে আক্রান্ত তরুণ ও যুব সমাজ ধ্বংসের গহŸরে নিমজ্জিত হয়ে সংসার এবং নিজ জীবনকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে বানারীপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন স্পটে যেমন, কলেজ মোড়, হাইস্কুলের পুরাতন ভবন, পশু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, দক্ষিণ নাজিরপুুর, সিনামাহল রোড, উত্তরপাড় এম এম লতিফ মাদ্রাসার সামনের একটি বাড়িতে, লঞ্চঘাট এলাকা, জব্বার সরদারের মিলের সামনে, পৌরসভ াআবাসন ও পৌরসভা লাগোয়া খেঁজুরবাড়ি আবাসনে মাদক বিকিকিনি হয় বলে বিভিন্ন সূত্র থেে জানা গেছে। এছাড়াও সদর ইউনিয়নের, আলতা-কুরিয়ানা সড়কে, জম্বদ্বীপ গুচ্ছ গ্রাম রাস্তায়, জম্বদ্বীপ তালতলার রাস্তার মাথায়, গাভা বাজারের পশ্চিম পাশে। সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বোর্ডস্কুল এলাকার কয়েকটি সড়কের ওপরে, হাওলাদার বাড়ির দিঘীর পাড়ের এলাকা, বাকপুর বাজার থেকে চৌয়ারীপাড়া সড়কে।
চাখার ইউনিয়নের মিয়ারহাট, খলিসাকোঠা বাজার, মাদারকাঠী, সোনাহার, চাখার বাজারেও মাদক বেচাকেনা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য চাখার থেকে কিছুদিন আগে বড় একটি মাদকের চালান আটক করে বানারীপাড়া থানা পুলিশ। বাইশারী ইউনিয়নের বাইশারী বাজারের খাল সংলগ্ন এলাকা ও কয়েকটি রাস্তায় বসে, শিয়ালকাঠী, পশ্চিম নাজিরপুর গুচ্ছ গ্রাম, সৈয়দকাঠীর বাংলাবাজার, নলেশ্রী, হাবিপুর সীমান্ত ঘেষা এস ডি বি এল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন কয়েকটি রাস্তায়, উদয়কাঠী ইউনিয়নের মধুরভিটা সরকারী বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকের আঞ্চলিক হাইওয়ে সড়কের ওপরে ।ইলুহার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে। বিশারকান্দি ইউনিয়নের বাজার সহ বিভিন্ন স্পটে মাদকের বেচাকেনা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ছাড়াও বিভিন্ন সড়কে ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক হাত বদল করে থাকে বলে অনেক সূত্র থেকে বলা হচ্ছে।
সুচতুর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মুঠোফানের মাধ্যমে ইয়াবা, গাজা ও ফেনন্সিডিল সহ বিভিন্ন মাদক বিকিকিনি করে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের লোক দিয়ে ক্রেতার কাছে মাদক পৌঁছে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মাদক ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের চিহ্নিত করে আটক করা পুুলিশের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পরে। অভিযোগ রয়েছে মুঠোফোনে টাকা আগে পাঠিয়ে দেয় ,পরে স্থান বলে দেয় সেখানে গিয়ে হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ইয়াাবা বা অন্য সব মাদক দেওয়া হয়। যুব সমাজ ধ্বংসের প্রধান কারন হল মাদক। “মাদক কিছু দেয়না বরং কেড়ে নেয় সব কিছু”। মাদকের ভয়ানক ছোবল থেকে তরুন সমাজকে বাঁচাতে হবে এমন সব সভা সেমিনার হলেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা এ ব্যবসা। মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড থেকে মানুষকে সচেতন করতে বানারীপাড়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাতেও কিছুতে কিছু হচ্ছে না।
এবিষয়ে ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন মাদকের সাথে কোন আপশ নেই। মাদক ব্যবসায়ী বা সেবনকারী সে যে ইউক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি যোগদান করার পর থেকে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলাও দেওয়া হয়। বর্তমানেও মাদকের বিষয়ে বানারীপাড়া থানার পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।