রাজশাহী বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গো পাড়ার আশে পাশে পরিবেশ দূষণের মধ্যে ফেলে কোন ধরনের ভ্যাট ট্যাক্সের তোয়াক্কা না করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে টিনের ড্রাম চিমনি ইট ভাটার ব্যবসা।
ফসল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক অন্যদিকে আয়কর ট্যাক্স ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকারি কোষাগার, আর নিষিদ্ধ এই ড্রাম চিমনি ইটভাটার চাঁদার টাকা চলে যাচ্ছে অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে।
এই এলাকার বেশ কিছু অসাধু চক্ররা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে তিন ফসলি জমিতে গড়ে উঠিয়েছে অবৈধ এই ড্রাম চিমনি ইটভাটা। ইটভাটা গুলোতে দেদারচ্ছে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ, অন্যদিকে কমছে ফসলি জমি আর পরিবেশ পড়ছে হুমকির মুখে। জনবসতি ও গাছপালা রয়েছে এমন এলাকায় ইটভাটা গড়ে তোলা নিষিদ্ধ হলেও অবাধে এই ড্রাম চিমনী ইটভাটা গড়ে উঠেছে এই উপজেলায়। কৃষি ও পরিবেশবিদরা বলেছেন লোকালয়ের পাশে ফসলের জমিতে ইটভাটা গড়ে ওঠাই পরিবেশ দূষণ সহ ফসলের ফলন কমে যাচ্ছে।
আশঙ্কাজনক হারে একই সাথে ফসলি জমি ও পরিবেশের ভারসাম্য ড্রাম চিমনি ইটভাটার পেটে চলে যাওয়ার জন্য জমির উর্বরাশক্তি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই বললেই চলে, ফসলি জমিতে ইটভাটা হওয়ার কারণে দিনকে দিন কমছে আবাদি জমি খুব কাছাকাছি এসব ইটভাটা কারণে মানুষের স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন হচ্ছে তেমনি পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। তাছাড়া একের পর এক ড্রাম চিমনী ইটভাটা নির্মাণের কারণে কৃষি জমির পরিমাণ ও কমছে অনেক গুন।
অনুসন্ধানে দেখা যায় যে শুকনো মৌসুমে যেসব বিলে পানি থাকে না সেই সব বিলের ফসলি জমিতে ইটভাটা গড়ে উঠেছে যেমন কমছে ফসলী জমি তেমনি চাপ পড়েছে কৃষির জমির উপরে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অভিযান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। আউচপাড়া ও গোবিন্দ পাড়া এলাকার কৃষকরা জানায় বর্তমান সরকার কৃষকদেরকে কৃষির উপর সার বিজ এবং কিছু টাকা কৃষি অফিসের মাধ্যমে এলাকার প্রায় কৃষক এই সুবিধা পায় আর পেয়ে বা কি হবে, কৃষকদের ঘাম ঝরানো পরিশ্রম সরকারের দেওয়া ভর্তুকী চলে যাচ্ছে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটার পেটে।
আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছে তিন ফসলি জমি ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্পায়ন করা যাবে না।এই কথা বলে সত্য কিন্তু ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটার কাজ দেদারছে চালাচ্ছে। এলাকাবাসীরা প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন ফসলি জমির উপর ইটভাটা প্রস্তুত স্থাপনা বন্ধ হবে কি?
কৃষকদের অভিযোগ মতে দেখা গেল সুজন পালসা বাইগাছা,পারিলা,নদ্দাস,চাইসারা,
তবে আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)এর-৪ ধারা মতে লাইসেন্স ব্যতীত ইটভাটা স্থাপন ও প্রস্তুত নিষিদ্ধ,এই আইনের ১৪ ধারায় বলা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তি লাইসেন্সবিহীন কোন ইটভাটা প্রস্তত বা ইটভাটা স্থাপন পরিচালনা বা চস্লু রাখেন তাহলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনাদায়ে ২০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কিন্তু বাগমারা উপজেলায় কিসের ট্যাক্স কিসের ভ্যাট লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে সকল ইটভাটার কার্যক্রম তথাপিত ও স্থানীয় প্রশাসন কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন না করায় নিরু বিচ্ছিন্ন অবৈধভাবে চলছে ইটভাটার বাণিজ্য।
বানায়পুর গ্রামের ড্রামচিমনী ইটভাটা’র মালিক কালাম ও হারুপাড়া গ্রামের ড্রামচিমনী ইটভাটা’র মালিক মোস্তাক বলেন,আমাদের এই ১২ টি ড্রামচিমনী ইটভাটার মালিক সমিতি আছে। আমারা সমিতির মাধ্যমে ভাটাপ্রতি তিনলক্ষাধিক টাকা করে তুলে অভিযান যেন না হয় এই বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অংকের চাদার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ভাটার ব্যবসা সিজিনিয়াল ভাবে চালাতে হয়।
অভিযান বা কোনো প্রশাসনিক বাধার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন আমাদেরকে আগে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হয় ওই সময় আমরা দূরে সরে থাকি অভিযানে এলে টিনের চিমনি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে রেখে চলে যায় বা অন্য কোনো ক্ষতি করে না আমাদেরকে একটা চিমটি রাখতে হয় তাৎক্ষণিকভাবে চিমনির কাজ চালাতে কোন সমস্যা হয়না কাজ বন্ধ থাকে না।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, জনগণের পক্ষ থেকে আমি চিমনী ভাটা বন্ধের বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না তাই কৃষকদের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের হস্তক্ষেপ কামনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহি অফিসার শরীফ আহমেদ বলেন, আমরা যেকোনো অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব এটা ডিসি স্যারের নির্দেশ।