ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে হাঁস-মুরগীর ড্র্যাক প্লে ও কলেরা ভ্যাকসিন না থাকায় এ অঞ্চলের খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে খামার গুলোতে মহামারী আকারে রোগ-বালাই দেখা দিলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এ শিল্পটি। কাঠালিয়া উপজেলায় দুইশত হাঁসের ও চল্লিশটি মুরগীর খামারসহ দু’লক্ষ হাঁস-মুরগী রয়েছে। খামারীরা হাস-মুরগীর জন্যে রোগ প্রতিষেধক হিসেবে ড্রাক প্লে ও কলেরা ভ্যাকসিন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে প্রাণিসম্পদ বিভাগ কিংবা হাট-বাজারে এ ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অধিকাংশ খামারেই ইতোমধ্যে হাঁস-মুরগীর মড়ক শুরু হয়েছে। যেকোন সময় মহামারি আকার ধারন করতে পারে। অনেক খামারী ব্যাংক ঋণ নিয়ে এ খামার গড়ে তুলেছেন। ফলে দুঃচিন্তায় র্নিঘুম রাত কাটছে তাদের। উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের খামারীদের একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা অবিনাস চন্দ্র সন্নমত জানান, আমার একটি হাঁস ও মুরগীর খামার রয়েছে। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে পশু হাসপাতাল কিংবা, ফার্মেসিতে কলেরার ভ্যাকসিন পাচ্ছি না। আমি হতাশ হয়ে আছি যে, কোন মুহুর্তে আমার খামারে মড়ক দেখা দিতে পারে। কাঠালিয়া গ্রামের মুরগীর খামারী রবিউল ইসলাম বলেন- ড্রাক প্লে ও কলেরা কোনো ভ্যাকসিনই পাচ্ছিনা বাজারে। তাই আমরা দুঃচিন্তায় আছি। এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম এর সাথে তিনি জানান, চাহিদার চেয়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ খুবই কম, প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক কিংবা তার চেয়েও কম। এ কারনে ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। করোনার মহামারির কারনেও এ সংকট কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে হতাশ হবার কিছু নেই, দ্রæত সময়ের মধ্যে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।