বরগুনার তালতলীতে পুত্র ও পুত্রবধূর সাথে মা পিয়ারা বেগমের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে মা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। অভিমানী মাকে ফিরিয়ে আনতে না পেড়ে পুত্র এক সন্তানের জনক বাবুল মৃধা (৩২) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুর গাছা গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ২০১২ সালে পারিবারিক ভাবে ওই ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকার বাদল খাঁনের কন্যা মনিরা বেগমের সাথে পশ্চিম বাদুরগাছা গ্রামের নসু মৃধার পুত্র বাবুল মৃধার পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই পুত্রবধূর সাথে শাশুড়ী পিয়ারা বেগমের বনিবনা হচ্ছিলোনা। গত এক সপ্তাহ পূর্বে মা পিয়ারা বেগমের সাথে পুত্রবধূ মনিরার কথার কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পুত্রবধূ ও সন্তানের উপর অভিমান করে মা পিয়ারা বেগম তার বাবার বাড়ি চলে যান।
গতকাল সোমবার সকালে অভিমানী মাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য পুত্র বাবুল মৃধা পাশের গ্রাম কচুপাত্রা তার নানার বাড়িতে যায়। মাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পুত্র চলে আসে। এরপর থেকেই সারাদিনেও বাবুলের কোন খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে খোজাঁখুজিঁ করে। ওইদিন গভীর রাতে বাবুলের স্ত্রী বসতঘরের পাশে একটি রেইনট্রি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বাবুলের মৃত্যু দেহ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার করতে থাকেন। এসময় স্থানীয় প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে থানায় খবর দেয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।আজ (মঙ্গলবার) সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা হচ্ছে।